যেসব ফার্মেসিতে শতভাগ নারী কর্মী থাকবে সেই সব ফার্মেসি থেকে কোনো ধরনের কর নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া, শিশুবান্ধব শহর গড়তে তোলার কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কোনো মাঠে মেলা চলবে না। যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের (শিশুদের) খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩ এ কল করে বলবে, আমার খেলার মাঠে আমাকে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
বুধবার ডিএনসিসির নগর ভবনে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে ‘আমরাও বলতে চাই’ শীর্ষক সংলাপে মেয়র এসব কথা বলেন। ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরীগণ এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। কিশোর-কিশোরীরা পরিবেশ দূষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি ও বস্তিবাসীদের আবাসনের বিষয়ে মেয়রের কাছে দাবি তুলে ধরেন।
সংলাপে মোহাম্মদ হাসান নামে একজন কিশোর অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই এবং যা আছে সেগুলোও বিভিন্ন মৌসুমি মেলার কারণে দখল থাকে। এ সময় মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের কোন মাঠে কোন ধরনের মেলা হবে না। আমরা এর অনুমতি দেব না। এগুলো তোমরা (শিশু-কিশোর) ব্যবহার করবে। যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩-এ কল করে বলবে জানাবে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
এ সময় কিশোরীরা তাদের খেলাধুলা এবং মাঠ ও পার্কে যাওয়ার নিরাপদ পরিবেশ দাবি করলে মেয়র বলেন, ‘আমরা ২৪টি খেলার মাঠ ও পার্কের সংস্কার ও উন্নয়ন করছি, যার ১৭টিতেই সিসি টিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে। বনানী ১৮ নম্বর রোডের মাঠে শুধু নারী ও শিশুরা খেলবে। আর বাকিগুলোতে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট জায়গা কিশোরীদের জন্য আলাদা করে দেওয়া যায় কি না আমরা দেখব।’
উপস্থিত মরিয়ম আক্তার মেঘলা নামের এক কিশোরী সিটি করপোরেশনের কাছে হাসপাতাল ও ফার্মেসি গুলোতে নারী চিকিৎসক এবং ফার্মাসিস্ট চান। মেঘলা বলেন, ‘আমাদের কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, কিন্তু আমরা সেগুলো হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে বলতে পারি না, কারণ সেখানে পুরুষ বেশি।’ এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, সিটি করপোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালগুলোতে নারী চিকিৎসক আছেন, সেখানে কিশোর-কিশোরী কর্নার আছে। তোমরা সেখানে আসতে পারো। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভিজিটে তোমাদের কাছে যাবে।’ সংলাপের পরে মেয়র কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন