২০১৭ সালের ঘটনা। ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশু ধর্ষণের পৃথক তিনটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিন নিতে এলে আদালত দেখতে পান, মামলা শিশু আইনে হলেও আসামিরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাতেও একই অবস্থা। ফলে মামলাগুলোর বিচার কোন আইনে হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এ বিষয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলবের পর শিশু ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রে শিশু আইনের বেশকিছু জায়গায় অস্পষ্টতা উঠে আসে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণার পর আইনটি সংশোধন করে সরকার। তাতেও বিদ্যমান আইনের অস্পষ্টতা কাটেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের বিচারে পূর্ণাঙ্গ বিশেষ আইন প্রয়োজন।
ধর্ষণের বিচারে আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দিয়ে আসলেও এখনও অনেক অস্পষ্টতা, আইনের ধীরগতি ও সামাজিক বাধার কারণে ধর্ষণের বিচার বিলম্বিত হচ্ছে— এ মন্তব্য মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কোনও ভুক্তভোগীকে বারবার পুলিশ, ডাক্তার বা আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, যে কারণে ধর্ষণের বিষয়টিও ভুক্তভোগীর মস্তিষ্কে নতুন নতুন আঘাত সৃষ্টি করে। সবার প্রশ্নের মুখে পড়ে তাকে বারবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়, যা কিনা শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ভয়ানক হয়ে থাকে।’
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে সারাদেশে ৭৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১৫টি। এর মধ্যে ধর্ষণ শেষে হত্যার শিকার হয়েছেন ৫৭ জন নারী ও শিশু। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন। এছাড়া, ১৭৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের কয়েকটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করে সংস্থাটি।
বিদ্যমান আইনে ধর্ষণ সংক্রান্ত ধারাগুলো অসম্পূর্ণ
অপরাধের আধিক্য ও ভিন্নতা বাড়তে থাকা সত্ত্বেও ধর্ষণের অপরাধ, বিচার ও দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে সময়োপযোগী কোনও বিশেষ আইন হয়নি। তারপরও বিচার পাওয়ার আশায় ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন, ২০১৪ সালের ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন এবং ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের কয়েকটি ধারার ওপরে নির্ভর করতে হয় বিচার প্রার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থাকলেও সেখানে ধর্ষণের শিকার যেকোনও লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতিসত্তা বা প্রতিবন্ধিতার বিচারের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। ভুক্তভোগীর জন্য ধর্ষকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পর্যাপ্ত ব্যাখ্যাও নেই। ধর্ষণ মামলায় ভাষা, শ্রবণ এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ, ভিকটিমের বয়স ও মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় কাউন্সিলিং সুবিধা, ভিকটিমের নিরাপত্তা, ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ ও রিপোর্ট প্রদানকারীর সাক্ষের বিধান, বিচারক, আইনজীবী, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও সমাজকর্মীদের জন্য আইন সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের বিধান ও গাইডলাইনের ওপর আইনে কোনও বিধান না থাকায় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ আছে। এতে করে বিচার বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
রয়েছে অপরাধের ভিন্নতা
ধর্ষণ নিজেই একটি অপরাধ। তবে এই অপরাধকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে আরও ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের। ধর্ষণ পরবর্তী মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, ঘটনার ছবি বা ভিডিও ধারণ, ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা, আলামত বা সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করা, সাক্ষীদের ওপর হামলা ও ভীতি প্রদর্শন, সমাজে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের মানহানি ঘটানো, মোবাইল বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করে প্রেম বা বিয়ের প্রলোভন বা বিশ্বাস ভঙ্গ করে ধর্ষণসহ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধও সৃষ্টি হচ্ছে।
‘মো. রাহেল ওরফে রায়হান বনাম রাষ্ট্র’ মামলার রায়ে হাইকোর্ট নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন— ‘ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার আসামিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। এরা ভিকটিম ও তার পরিবারের ওপর চাপ-প্রভাব বিস্তার করে আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে ভয়-ভীতি, প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে। ক্ষেত্র বিশেষে সালিশের নামে সামাজিক বিচার করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে বিরত থাকার জন্য চাপ প্রদান করে থাকে। উপরোক্ত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আদালতের সুচিন্তিত অভিমত এই যে—অবিলম্বে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন এবং আদালত এটাও প্রত্যাশা করছে যে, সরকার দ্রুততম সময়ে উক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে।’
বিয়ের আশ্বাস বা প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদা বলেন, ‘প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটলেও বিচারের ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলা আদালত শুনতে চান না। সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যে ধর্ষণের অপরাধ ঘটতে পারে, সেটি আমাদের বিচার ব্যবস্থায় এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে মেয়ের পরিবার ছেলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ও অপহরণের মামলা করছে, যার প্রতিকারও আইনে থাকা দরকার বলেও জানান ব্লাস্টের এই গবেষক।
আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ‘নিকট আত্মীয়, গৃহকর্তা, বন্ধু, গৃহশিক্ষক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিসের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, গণপরিবহন, পুলিশ কিংবা চিকিৎসকের কাছে সেবা নিতে গিয়েও ধর্ষণের অপরাধ সংঘটিত হয়, যা বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এসব বিশ্বস্ত জায়গাগুলোতে আমাদের নারী বা শিশুরা অনেকটাই অনিরাপদ। এসব নির্ভরযোগ্য স্থানে নারীর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার মতো অপরাধের সাজার ভিন্নতা প্রয়োজন। তাই এসব বিশ্বাসের জায়গাগুলোতে কেউ অপরাধ সংগঠন করলে তাদেরও বিশেষ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
বিদ্যমান ধর্ষণ আইন পুরনো দিনের কয়েকটি প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে তৈরি করা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ) সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসবের বাইরেও ধর্ষণকে ঘিরে অনেক অপরাধ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আমাদের দেশে এখনও বৈবাহিক ধর্ষণের অপরাধকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’
ধর্ষণের অপরাধের বিচারে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা
ধর্ষণের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা। ভিকটিম বা তার পারিবারের অনাগ্রহতা, ভিকটিমের ওপর দোষ চাপানো, বিচারে সাক্ষীর অনুপস্থিতি, ভিকটিমের পরিবার ও সাক্ষীদের হুমকি, প্রভাবিত হয়ে থানা কিংবা হাসপাতালের প্রতিবেদন তৈরি, মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে আপসের সুযোগ নেওয়া, ধর্ষণের বিচারে আইনের দুর্বলতা, অস্পষ্টতা এবং যুগোপযোগী পূর্ণাঙ্গ আইন না থাকা ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।
হিজড়া সম্প্রদায়ের লিঙ্গ রূপান্তর নারীদের ধর্ষণের বিচার পাওয়ার প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জয়া শিকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হিজড়াদের কেউ ধর্ষণের শিকার হলে থানা বা পঞ্চায়েতের কেউ সেটিকে অপরাধ জ্ঞান করে না।’ যৌনাঙ্গ ছাড়াও একজন ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার হতে পারেন বলেও মনে করেন জয়া শিকদার।
ধর্ষণ আইনের অস্পষ্টতায় সুপ্রিম কোর্টের বারবার হস্তক্ষেপ
ধর্ষণের বিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা থাকায় বিভিন্ন মামলার সূত্র ধরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে বেশ কিছু রায় ও আদেশ দিয়েছেন। এসবের মধ্যে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ভিকটিমের জন্য ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করে কয়েকদফা নির্দেশনাসহ রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ২৭ মে ধর্ষণ মামলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডিএনএ টেস্ট নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা দেন আদালত।
ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আসামিদের জামিন না দিতে চলতি বছরের ৯ আগস্ট কয়েক দফা নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ। গত ১৮ জুলাই ধর্ষণ মামলার বিচারে বিচারক, সাক্ষী, পুলিশ ও ফরেনসিক চিকিৎসকদের ওপর সাত দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। বিধান না থাকা সত্ত্বেও দিনাজপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা আপসরফা করায় স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এবছরের ১৬ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার নারী ভিকটিমদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য নারী ম্যাজিস্ট্রেট রাখার বিধান বাস্তবায়নেও সার্কুলার দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ধর্ষণের বিচারে কেন বিশেষ পূর্ণাঙ্গ আইন প্রয়োজন
অপরাধের তীব্রতা রোধে আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে, ধর্ষণের বিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিধান এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় ও আদেশগুলো একত্রিকরণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বিএনডব্লিউএলএ’র সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
এছাড়া, ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের সুনির্দিষ্ট বিধান, ভিকটিমের নিরাপত্তা ও সাক্ষীর উপস্থিতি পুলিশ দিয়ে নিশ্চিত করা, ফরেনসিক চিকিৎসক ও পুলিশের অসত্য প্রতিবেদন দাখিলে শাস্তির বিধান, ভিকটিমের মানসিক কাউন্সিলিং, মামলা পরিচালনার খরচ ও ক্ষতিপূরণ সুবিধা নিশ্চিত করা, বৈবাহিক ধর্ষণ, হিজড়া, উপজাতী বা প্রতিবন্ধীদের ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের জন্যও পূর্ণাঙ্গ আইনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।
ধর্ষণ বিষয়ে নতুন পূর্ণাঙ্গ আইন প্রসঙ্গে আসকে’র নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ‘দেশে দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই এ অপরাধ কমিয়ে আনতে আমাদেরকে ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অন্যান্য অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাই সময়োপযোগী একটি আইন তৈরি প্রয়োজন। ’
এ ক্ষেত্রে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বিএনডব্লিউএলএ-সহ বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠন ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছে। দেশের চারটি জেলায় ‘আস্থা’ প্রকল্পের মাধ্যমে আইন ও সালিশ কেন্দ্র নির্যাতনের শিকার নারী ও কন্যা শিশুদের সহায়তার জন্য ‘নারী সহায়তা কেন্দ্র’ পরিচালিত হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের আইনগত সহায়তা প্রদানকারী বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থাই নয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে সব প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে আসতে হবে বলেও শীপা হাফিজা মনে করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন