সীতাকুণ্ডে নিজের চিকিৎসা করাতে এসে দুর্ঘটনায় ৪ বছর বয়সী একমাত্র ছেলের লাশ নিয়ে ফিরলেন মা। নিহত শিশুর নাম মো. জিহাদুল ইসলাম সিয়াম।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সিয়াম পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়া গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে। কামরুল হাসান পেশায় একজন ক্যাবল মিস্ত্রি।
হাসপাতাল, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও ভিডিও ফুটেজ দেখে জানা যায়, নিহতের মা আলেয়া আক্তার সোনিয়া স্বামী ও মাকে নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে আসেন চিকিৎসা নিতে। ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন তারা।
এ সময় চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ফেরত যাচ্ছিল। গাড়ি হাসপাতালের গেট বরাবর আসলে সিয়াম মার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে রাস্তার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নানির কাছে দৌড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির সামনে চলে আসে। হঠাৎ বাচ্চাটি সামনে চলে আসলে চালক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মা,বাবা ও নানির সামনেই চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে যায় সে।
সেখান থেকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কোন মামলা করবেন না বলে জানান নিহতের চাচা ইমরান হোসেন।
চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন, সমবয়সী আমারও একটা বাচ্চা আছে। আমি অত্যন্ত মর্মাহত, ব্যথিত।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন