পাবনার চাটমোহরে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ পেয়ে সাদা পোশাকে বাজার মনিটরিংয়ে গেলেন সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে শুক্রবার সকালে তিনি কোনো পুলিশ ছাড়াই নিজে বাজার করতে যান।
এ সময় পুরাতন বাজারের জিনদার হোসেন নামে এক পাইকারি বিক্রেতার কাছে নিজের পরিচয় গোপন রেখে পেঁয়াজ কিনতে যান এএসপি। সেখানে গিয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির সত্যতা পান তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চাটমোহর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতারা সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। কিন্তু শুক্রবার কোনো কারণ ছাড়াই মজুদকৃত পেঁয়াজ জিনদার হোসেনসহ অন্য পাইকাররা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।
এদিকে বেশি দাম দিয়ে কেনায় খুচরা বিক্রেতারা সেই পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ২২০ টাকা দরে। এক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানোর এমন অভিযোগ এক ক্রেতা এএসপিকে মোবাইল ফোনে জানান। পরে তিনি (এএসপি) নিজে বাজার মনিটরিংয়ে নেমে এর সত্যতা পান।
খবর পেয়ে বাজারে ছুটে আসেন থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন, পৌরসভার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ দুলাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদেক আকন্দ ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কেএম বেলাল স্বপন।
এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে এএসপি আড়তদারদের ভৎর্সনা করে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন।
এছাড়া বাজার মূল্য ছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি না করতে নির্দেশ দেন। আড়তদাররাও এএসপিকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এএসপি সজীব শাহরীন যুগান্তরকে বলেন, মজুদ করে বাজারে যে কোনো পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে বা গুজব ছড়ালে বসে থাকবে না পুলিশ। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে প্রথমবারের মতো ওই আড়তদারকে ক্ষমা করে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এরপর এমন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন