অভাবের কষাঘাতে অসহায় জীবনযাপন করা একসময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানার দায়িত্ব নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
মিরসরাই থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাড়াও রানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন।
গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সময় তোলা তার এক মলিন মুখের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, ছবির উদভ্রান্ত, ভগ্ন শরীরের, দারিদ্র্যের ছাপযুক্ত এই মানুষটিই সেই মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে অনেকের ভিড়ে একাকী দর্শকের চেয়ারে পাবলিক হয়ে বসেছিলেন রানা। তখন সভামঞ্চে তার হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধাদের অনেকেই।
মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে তার বাড়ি। সংসারে তিন ছেলে, তিন মেয়ে। সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে আছেন রানা। নিদারুণ অর্থকষ্ট নিয়ে দিন যাপন করছেন। এ অবস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
এলিট বলেন, এখন থেকে আমি মোতাহার হোসেন রানার দায়িত্ব নিলাম। তার সন্তানদের পড়ালেখার খরচ, তার চিকিৎসা খরচসহ প্রতি মাসে সম্মানী দেবো, যা তার ব্যক্তিগত হিসাবে জমা হবে।
এছাড়াও রানা ভাইয়ের বাড়িটিও আমি সংস্কার করে দেবো এবং একটি পাকা বাড়ি করে দেবো বলেও জানান এলিট।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন