নোয়াখালীতে পোস্ট অফিসের ৫ গ্রাহকের ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক পোস্টমাস্টার শ্রী নিবাস চন্দ্র দেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে দুদক।
সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, মাইজদী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে সোমবার নিবাস চন্দ্র দেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমদ জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ থেকে ১৫ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত দত্ত পাড়া উপ ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ছিলেন। ওই সময় তিনি আমানতকারী শিরিন আক্তারের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১১২ টাকাসহ ৫ জন গ্রাহকের হিসাব থেকে মোট ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ডাকঘর বিভাগের একটি তদন্তে অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী পোস্ট অফিস পরিদর্শক দক্ষিণ উপবিভাগ বাদী হয়ে নিবাস চন্দ্র দের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে চন্দ্রগঞ্জ থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থাপনের জন্য ঘুষ হিসেবে নেয়া ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিয়ে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন ঠিকাদার আবদুল কাদের।
নোয়াখালী দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৪নং চর রুহিতা গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থাপনের জন্য ৩৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯৪৪ টাকা করে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার আবদুল কাদের।
দুদকের তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় ঠিকাদারকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার আবদুল কাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে জনতার সামনে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দেন।
এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি, পরিচালকমণ্ডলী ও জি.এম, দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন