নামাজ থেকে ফেরার পথে রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পুঠিয়ার বেলপুকুর ও সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সৌরভসহ আরো পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঘটনার মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা কামাল হোসেন সৌরভ (২৪)। তিনি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার চঁচকোড় বাজার এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।
মামলার দুই নম্বর আসামি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র মুরাদ হোসেন (১৯)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে।
তিন নম্বর আসামি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ শান্ত (২২)। তিনি পাবনার সদর থানার দাপুনিয়া এলাকার রইচ শেখের ছেলে।
মামলার চার নম্বর আসামি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিক্যাল বিভাগের ছাত্র সালমান ওরফে টনি (২২)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজার এলাকার শামিমুল ইসলামের ছেলে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে অপর এজাহারনামীয় আসামি রায়হানুল ইসলাম হাসিবকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিব মহানগরীর ভদ্রা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এই নিয়ে এখন পর্যন্ত কলেজ অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর ভেতর এজাহারে নামোল্লেখ করা আট আসামির মধ্যে সদ্য গ্রেপ্তার পাঁচজন রয়েছেন। গ্রেপ্তারদের দুপুরের মধ্যেই ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে সাতদিনের রিমান্ড চাইবে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন