প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। গণভবনে পেঁয়াজ ছাড়া সব রান্না হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগের আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চার দিনের সরকারি সফরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
দুবাই এয়ার শোসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমিরাতের আমির মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে এ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মটর শোভাযাত্রা সহকারে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় যাবেন শেখ হাসিনা। দুবাই সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি। চারদিনের সফর শেষে ১৯ নভেম্বর রাতে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিমানে পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে।
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির এই সমস্যা যাতে না থাকে সে লক্ষ্যে কার্গো ভাড়া করে আমরা পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। আগামী কাল-পরশুর মধ্যেই এই বিমানের পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে।’
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে সরকার তা খতিয়ে দেখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে, সব দেশেই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে কী কারণে এত লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, জানি না। আমরা দেখতে চাই যে, এই ধরনের চক্রান্তের সঙ্গে কেউ জড়িত রয়েছে কিনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি এখন পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দু’টাকা কামাতে চান, তাদের এটাও চিন্তা করতে হবে- পেঁয়াজতো পচেও যাবে। সেই পচা পেঁয়াজও এখন শুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে মানুষকে কষ্ট দেয়াটা কেন?’
তিনি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত লিপ্ত একটি স্বার্থন্বেষী মহলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘মানুষ যখন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে তখন একটি শ্রেণি আছে তারা মনোকষ্টে ভোগে, অসুস্থতায় ভোগে। তাদের এই রোগ কীভাবে সারানো যায় সেটা জনগণই বিবেচনা করবে, তারা দেখবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতই আমরা এগিয়ে যাই এবং মানুষ যত ভালো থাকে। একটা না একটা ইস্যু তৈরি করার এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা চেষ্টা করা হয়। কাজেই এর পেছনে মূল কারণটা কী সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটির সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন