বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার স্বজনরা। সাক্ষাৎ শেষে তার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চিকিৎসকরা নিয়মিত আসলেও তার চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া হবে।
স্বজনদের সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সরকারের শেখানো বক্তব্য ও ব্যাখ্যা দিলেও সুচিকিৎসার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। গত এক সপ্তাহে কোনো চিকিৎসক খালেদা জিয়াকে দেখতে যাননি। তার হাতে যে ব্যথা ছিল তা পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সারা শরীরে প্রচ- ব্যথা। নার্সরা তার হাতে-পায়ে হাত দিতে পারছেন না, হাত দিলেই তিনি প্রচ- যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। তার ডান পায়ের গোড়ালিতে একটা ফোঁড়ার কারণে সেই যন্ত্রণা আরও তীব্রতর হয়েছে।
বিএনপির এমন অভিযোগকে রাজনীতি বলে আখ্যা দিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিলন মিয়া সরকার।
তিনি বলেন, আমরা নীতিনৈতিকতায় বিশ্বাস করি, রাজনীতি করি না। আজকে (গতকাল) আমি তাকে অনেক সময় ধরে দেখে এসেছি। আগেরদিন ডা. ফরিদ উদ্দিন তাকে দেখতে যান। এর আগে সোমবার গিয়েছিলাম। তাহলে এক সপ্তাহ কিভাবে দেখা হয়নি আমি বুঝি না।
জিলন মিয়া আরও বলেন, পায়ের গোড়ালিতে যে ফোঁড়ার কথা বলা হচ্ছে সেটা একটা গুটলি। এমন গুটলি আমার নিজেরও বেশ কয়টা আছে। আমি তো চিকিৎসা করি না। এর কোনো ব্যাথা যন্ত্রণা নেই।
খালেদা জিয়ায় সর্বশেষ অবস্থা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিলে তিনি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন যেমন ছিলেন তার চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তবে জয়েন্টের ব্যাথাটা আগের মতোই আছে। আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন