জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছেন খালেদার আইনজীবীরা। জামিন আবেদনে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। পরে জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে গত ৩১ জুলাই দুর্নীতির মামলায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়াকে তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উনি গুরুতর অসুস্থ। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানান আদালত। গত জুনে নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপরই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদন শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গল ও বুধবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিন পেলে খালেদা জিয়া পালিয়ে যাবেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মামলার নথি এসেছে। এখন পেপারবুক প্রস্তুত করা হলেই আপিল শুনানি দ্রুত সম্ভব। এ অবস্থায় জামিন দেয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এই মামলায় সাজা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ মামলায় জামিন না দেয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। কারণ, তিনি সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন