আমদানি-রফতানির জন্য ভারত চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে। এর পাশাপাশি চাইলে চীনও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি-জাপার সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতের সঙ্গে এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে ভারত আমদানি-রফতানির জন্য এ বন্দর দুটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।’
ভারতের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে নেপাল ও ভুটানও আমাদের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ গ্রহণ করবে তিনি আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি চীনের দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের রাজ্যসমূহও এ বন্দর দুটি ব্যবহার করতে চাইলে আমরা তাদেরকেও স্বাগত জানাবো। এর ফলে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে ওঠবে।’
ভারতে গ্যাস রফতানির বিষয়ে রাঙ্গার আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
‘বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় বাল্ক এলপিজি রফতানির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে আমদানি করা এলজিপি গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে ভারতে রফতানি করে মুনাফা অর্জন করতে পারবে। এতে বাংলাদেশে কোনও ধরনের জ্বালানি সমস্যার সৃষ্টি হবে না। বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরও একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হলো।’
দলীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় ভারত ও চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করা হচ্ছে। কেবল ভারত আর চীন নয়— বাংলাদেশসহ মিয়ানমারের সঙ্গে যে কয়টি দেশের সীমান্ত আছে সেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা করছে। চীনের রাষ্ট্রপতি কথা দিয়েছেন এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন। ইতোমধ্যে তারা প্রতিনিধিও পাঠিয়েছেন। তারাও আলোচনা করছেন। চাপ দিচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন