চট্টগ্রামের পাটিয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিয়োগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আরো তিন সন্দেহভাজন পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটকরা হলো, উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামের হাসান (২০), মোহাম্মদ মাসুদ (২০) ও মোহাম্মদ ওসামান (২৮)।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত ৭ নভেম্বর রাতে উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার তিতা গাজীর মাজারে জিয়ারতে গিয়েছিল তিন কিশোরী ও দুই কিশোর। তাদের বাড়ি কর্ণফুলীর শিকালবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকায়। সেখান থেকে রাত ১০ টায় কিশোর-কিশোরীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলে।
পথে ছয় দুর্বৃত্ত অটোরিকশা থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে বানীগ্রাম নতুন পোল এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং রাতভর ধর্ষণ করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। রাত ৩টার দিকে কিশোরীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে দুই অটোরিকশাচালক ওই কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেন।
কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ নুর বলেন, ‘কিশোরীর মা ঘটনাটি আমাকে গত সোমবার অবহিত করেন। এরপর আমি উদ্যোগ নিয়ে ধর্ষকদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করি এবং বৈঠকের নাম করে কৌশলে তাদের একস্থানে জড়ো করি। গতকাল তাদের মধ্যে তিনজনকে পুলিশে দেওয়া হয়। বাকি তিনিজন পালিয়ে গেছে।’
পালিয়ে যাওয়া তিনজন হলো মঞ্জুর আলম (২২), মোহাম্মদ সুম (২৭) ও মোহাম্মদ এরফান (২৮)।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া আরো দুই অটোরিকশাচলককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তারা এই ঘটনায় জরিত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন