ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-ঢাকা ১ এ আলাদা দুটি মামলা করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম।
দুদকের আরেক ডিডি সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ভোরে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে।
আর কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। তার কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে র্যাব।
আর ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান দুজনকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন