ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় বরিশাল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকারি এক আদেশে কর্মস্থল ত্যাগ না করারও নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মস্থলে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ছিলেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাদের অনুপস্থিতির কারণে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভা হয়নি। সভা করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে গেছেন বরিশাল-১ আসনের (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) সংসদ সদস্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদে যান মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বীকে না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপেক্ষার পর মন্ত্রী সেখান থেকে ফিরে আসেন।
উপজেলা পরিষদ থেকে ফিরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দুর্যোগ প্রস্ততির সভা করেন। সভায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের কাছে প্রস্তুতির সর্বশেষ খোঁজ খবর নেন এবং শুকনো খাবার নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৌরনদী থানা পুলিশের ওসি গোলাম সরোয়ার, আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আফজাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন, উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবিবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস জানান, তিনি ৩ নভেম্বর থেকে ১৫ দিনের শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটিতে বাগেরহাটের শরণখোলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়িতে থেকেও তিনি চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাসহ সকলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, তার বাড়ি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল'র কারণে ছুটি বাতিলের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই রওনা হন। কর্মস্থল আগৈলঝাড়ায় পৌঁছান শনিবার দুপুর আড়াইটায়। আগৈলঝাড়া এসেই তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সকল প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বী (এসিল্যান্ড) বলেন, মন্ত্রী মহোদয় উপজেলা পরিষদে অবস্থানকালীন সময়ে অগৈলঝাড়ায় ছিলেন। ওই সময়ে তিনি জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় অবস্থান করে খাবার খাচ্ছিলেন। এ কারণে তখন উপজেলা পরিষদে যেতে পারেননি।
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিজ কর্মস্থলে ছিলেন না সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বী। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন পেয়ে ফাতিমা আজরীণ তন্বী কর্মস্থলে আসেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন