জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা গণমাধ্যমে উপাচার্যের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করার পরও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। নেতারা জানান, উপাচার্যের স্বামী ও ছেলের ফোনালাপ প্রকাশ করলে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে। সেসময় উপাচার্যকে ফোনালাপ প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এই চ্যালেঞ্জের পরও উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উপাচার্যের এই নীরব ভূমিকাই প্রমাণ করে তিনি দুর্নীতিবাজ।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগ যেখানে নিজেই টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে, সেখানে আর কত প্রমাণ দরকার? তদন্তের মুখোমুখি না হওয়ায় নিজেই নিজেকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করেছেন উপাচার্য।
‘উপাচার্য ফারজানা ইসলাম জাবিকে দূষিত করে ফেলেছেন। তাকে অপসারণ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পাবে না। যে উপাচার্য ছাত্রলীগকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপরে লেলিয়ে দেন, তার উপাচার্য নামক সম্মানজনক পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। জাবিকে রক্ষা করার জন্য ভিসি ফারজানার অপসারণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
১৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের বাদ হওয়া সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেনের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপ ফাঁসের পরদিন গণমাধ্যমে এসে উপাচার্যের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন একাধিক ছাত্রলীগ নেতা। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দাম হোসেনসহ তিন ছাত্রলীগ নেতার মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন সাদ্দাম হোসেন, সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক তাজ নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন