রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকায় পদ্মা ও বড়াল নদীর মোহনায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে মাছ শিকারের সময় ভারতীয় জেলেদের আটক করাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার দাবি করেন, তাদের এক সদস্য মারা গেছেন, আরেকজন আহত হয়েছেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ বিষয়টি তদন্ত করতে সম্মত হন। সময় টিভি ও বিবিসি বাংলা
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এ দুর্ঘটনা। আমাদের নদীতে ইলিশ ধরা নিষেধ অভিযান চলছে ফিসারি অধিদপ্তরের লোকদের সহায়তায় নদীতে যৌথ অভিযান চলছে। যে নদীতে ভারতের জেলে ধরা পরেছে সেখানে বাংলাদেশ ভারতের সীনান্ত আছে। ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের নদী সীমানার মধ্যে এসে মাছ ধরায় আমাদের যৌথ বাহিনী তাদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করে। আর বাকিরা পালিয়ে গিয়ে তাদের বিএসএফকে নালিশ করে যে, তাদের কিছু লোককে অবৈধভাবে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী আটক করেছে। আর তাতে-ই ভুল বোঝাঝুঝির সূত্রপাত।
তিনি বলেন, নদীপথে অনুপ্রবেশ প্রায়ই হয়ে থাকে। এতে দুই পক্ষেই ভুল বোঝাবুঝি হয়, আবার পতাকা বৈঠক কিংবা আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষে এর পরিসমাপ্তি ঘটায়। আজ যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এটাকে আমি দুর্ঘটনা বলেই মনে করছি। বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে কথা হচ্ছে, আশা করছি এটার একটা সুন্দর সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএসএফ এর সঙ্গে বিসিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করতে চ্ইালেও তাড়াহুড়োর করে জেলেদের ছিনিয়ে নিতে চাওয়ায় গুলিবিনিময় ঘটে আর তাতে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হয়। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো। কোনো বিরুপ সম্পর্কের সৃষ্টি হবে না কারণ ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। শিগগিরই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন