উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জার্মানিতে শুরু হয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবারের ৭১তম আয়োজনে প্রায় ১০৪টি দেশ থেকে ৭ হাজার ৪৫০ প্রকাশক অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্ন দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং বই ব্যবসার সমস্যা সমাধান নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চার হাজারেরও বেশি সেমিনার।
১৬ অক্টোবর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী বইমেলা বিশ্বের বৃহত্তম বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২০১৫ সাল থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এ বছর মেলায় বাংলাদেশ স্টল উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। মেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
এ ছাড়া সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজিসহ আরও অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসাইন ছোটন, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি খান মাহবুবুল আলম, অমিকন পাবলিশিং-এর এহসান মাহবুব প্রমুখ।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এ ছাড়াও জাতীর পিতার জীবন ও কর্ম বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে সরকার ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলাকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখছে।
দেশ থেকে আসা অংশগ্রহণকারীরা জানান, বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মেলার মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের যোগসূত্র স্থাপিত হয়।
জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বেশি পরিচিতি পাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন