মৃত স্বামীর লাশ শনাক্তের ১১ দিন পর এবার মাথা কুড়িয়ে পেলেন স্ত্রী হেলেনা বেগম।
চাঞ্চল্যকর সবজি ব্যবসায়ী দুলু হত্যার ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্য স্বস্তি ফিরলেও খুনিরা এখনো অধরা।
তবে পুলিশ বলছে, সন্দেহাতীতভাবে দুলু হত্যার সাথে জড়িতরা নজরদারিতে আছে। প্রকৃত খুনিদের ধরতে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পেশাদার খুনিরা এখানে অংশ নেয়। আলামত ধ্বংশ করতেই মানবদেহ থেকে মাথাটাকে আলাদা করে গায়েব করে তারা।
শুধু এখানেই শেষ নয়, খুনিরা মাথাটাকে রাসায়নিক জাতীয় কোনো পদার্থ দিয়ে পঁচিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, ১১ দিনের মাথায় অর্ধ গলিত মাথাটি ঘটনা স্থলের ৬০ থেকে ৭০ গজ উত্তরে বোয়ালী ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মাজেদ উদ্দিন খাঁন আব্দুল্লাহর জমির ধানক্ষেতের আইলে রেখে যায়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে মৃতের স্ত্রী হেলেনা বেগম তার নিজ জমিতে কীটনাশক দিতে গিয়ে মাথা সদৃশ্য কঙ্কালটি কুড়িয়ে পান। শনাক্ত করেনও তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগলিত মাথাটি উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর দুলু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্ধ গলিত মাথাটি মৃত দুলুর। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।
আশা করা হচ্ছে, দ্রুত দুলু হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর এলাকার বিদেশ ফেরত সবজি ব্যবসায়ী দুলুর মস্তকবিহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ অক্টোবর সকালে মৃতের বাড়ির সাতশো গজ দূরে উত্তর দিকে সাদা আর্মির লিচু বাগানের পাশে ধানক্ষেতে, সেচ কাজে ব্যবহৃত ড্রেনের ভিতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দুলা মিয়া ওই গ্রামের মৃত কেরামাতুল্লাহ সরকারের ছেলে। এই ঘটনায় মৃতের ছেলে রাশেদুল ইসলাম শাকিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন