প্রায় একমাস পর ডাকসুর আয়োজিত কোনও প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন ডাকসুর জিএস ও ছাত্রলীগ থেকে সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানী। এদিন রাব্বানীকে একটু নির্বাকই মনে হয়েছে। চেহারায় হতাশার ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী।
তারা বলেন, আগের মত চার পাশে অনুসারীদের উচ্ছ্বাস, ভিড় এবং স্লোগান না থাকায় এক প্রকার নির্বাক এবং বিব্রত দেখা গেছে রাব্বানীকে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু’র উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করা হয়েছে জো বাইক সেবা। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানোর পর এটিই তার প্রথম কোনও ডাকসুর প্রোগ্রামে যোগদান।
সর্বশেষ তিনি ডাকসুতে কবে এসেছেন এমন প্রশ্নে ডাকসুর সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘জিএস সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় তার কার্যালয়ে এসেছিলেন। এরপর তিনি আর ডাকসুতে আসেননি।’
সরেজমিন টিএসসিতে দেখা যায় রাব্বানীর আগমনে আগের মতো ছিল না প্রটোকল, অনুসারীদের স্লোগান আর ফটোশেসনের হামাগুড়ি। সহজ-সরল ভঙ্গিতে স্টেজে ওঠে নিরবে বসেছেন নিজের আসনে। চেহারায় এক ধরনের অসহায়ত্বের ছাপও লক্ষ্য করার মতোই ছিল।
পাশেই বসা ছিলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। আগের মতো কোনও ধরনের খোঁচা না দিয়েই একসাথে নুরের সাথে কাজ করারও কথা বললেন রাব্বানী।
এসময় ভিপি নুরকে উদ্দেশ্যে করে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘নুর বলতে পারবে না শিক্ষার্থীদের কোনও যৌক্তিক দাবিতে আমরা তাকে অসহযোগিতা করেছি। বরং সবসময় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।’
গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘অজুহাত না দিয়ে ডাকসুকে অর্থবহ করতে আসুন এক সাথে কাজ করি। ডাকসু বরাবরই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও নৈতিক আন্দোলনে কাজ করে আসছে বলেও জানান রাব্বানী।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেস্বর দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের দায়ে ছাত্রলীগ শীর্ষ দুই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিযুক্ত করা ১ নং সহ- সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন