গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আপন ভাতিজিকে ধর্ষণ করেছে আজিজুল হক (১৮) নামের এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ধর্ষক আজিজুলকে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পরে বুধবার দুপুরে ধর্ষককে উপজেলার বেলতলী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
স্বজনরা জানায়, শিশুর মা-বাবা দুজনই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে স্বজনদের কাছে শিশুটিকে রেখে তারা কাজে যান। দুপুরে শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এ সময় তার চাচা আজিজুল হক চকলেট কিনে দেয়ার কথা বলে তাকে কোলে নিয়ে বাইরে যায়। ঘন্টাখানিক পরও সে ফিরে না আসায়, স্বজনরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং শিশুটির বাবা-মাকে জানায়।
শিশুর বাবা জানান, মেয়েকে খুঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা জেনে ওর মা কারখানা থেকে দুপুরেই বাড়িতে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর ২ টার দিকে পাশের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে একটি সেতুর কাছে ঝোঁপের ভেতরে তাদের পাওয়া যায়। এ সময় শিশুটিকে বিবস্ত্র ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন সুযোগ বুঝে আজিজুল পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা আরো জানান, রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে উপজেলার বেলতলী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন