বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত একথা জানান।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল বলেছিলেন যদি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। এর আগে রোববার (১২ অক্টোবর) সাভারে ট্যানারি পল্লিতে এক সভায় তিনি বলেন, ‘দুদক চেয়ারম্যান যদি বলে থাকেন বা বলতে চান বা মনে করেন যে, তিনি কোনও প্রভাবের কারণে ব্যবস্থা নেননি, তাহলে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে তার অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।’
মূলত এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। তিনি বলেন, ‘বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির বিষয়ে এই কমিশনের সময়ে কোনও মামলা হয়নি। এই কমিশন শপথ ভঙ্গ করেনি। কারও পারসেপশনের ভিত্তিতে আমরা চার্জশিট করতে পারি না। অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণের মতো এখনও কোনও তথ্য প্রমাণ পায়নি দুদক। তাই কমিশন এ নিয়ে চার্জশিট দেওয়ার মতো নির্দেশনা দিচ্ছে না, সময় নিচ্ছে।’
দুদক সচিব বলেন, ‘আমরা হাফ ডান চার্জশিট করতে চাই না। বাচ্চুর বিষয়ে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংকে বিপর্যয়ের শুরু হয় ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর সময়ে। আবদুল হাই বাচ্চু ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুদক তাঁকে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই মামলাগুলোতে অভিযুক্ত করা হয়নি।
আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণ নেওয়া ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন