দেশব্যাপী আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের পরিচয় পাওয়া গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো-
মামলার ১ নম্বর আসামি হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (২৪)। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রাংগারদিয়া গ্রামের মো. রুহুল আমিন ও ঝর্না আমিনের ছেলে। রাসেল বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।
২ নম্বর আসামি মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার লাঙ্গলমোড়া গ্রামের মো. আবু তাহের ও সালমা ইয়াসমিনের ছেলে। ফুয়াদ বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ২০১০ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।
মামলার ৩ নম্বর আসামির নাম মো. অনিক সরকার (২২)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে। শেরেবাংলা হলের ছাত্র অনিক বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়েন।
মামলার ৪ নম্বর আসামি হলেন মো. মেহেদী হাসান রবিন (২২)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের মো. মাকসুদ আলী ও রাশিদা বেগমের ছেলে। শেরেবাংলা হলের এই বাসিন্দা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র।
মামলার ৫ নম্বর আসামি হলেন ইফতি মোশাররফ সকাল (২১)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক। বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়েন। আবরার ফাহাদকে যে রুমে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তিনি সেই ২০১১ নম্বর রুমের বাসিন্দা। ইফতি রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৯৫ নম্বর বাড়ির ফকির মোশাররফ হোসেন ও রাবেয়া মোশাররফের ছেলে।
মামলার ৬ নম্বর আসামি হলেন মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাহিত্য সম্পাদক। শেরেবাংলা হলের এই ছাত্র পড়েন ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। মনির দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভাংগাড়ীপাড়ার মো. মাহতাব আলী ও এলিজা বেগমের ছেলে।
মামলার ৭ নম্বর আসামি হলেন মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২২)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক। তিনি নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। থাকতেন শেরেবাংলা হলে। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ীর মো. শহিদুল ইসলাম ও শাহনাজ বেগমের ছেলে।
মামলার ৮ নম্বর আসামি হলেন মো. মাজেদুল ইসলাম (২১)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। শেরেবাংলা হলের মাজেদুল এমএমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র।
মামলার ৯ নম্বর আসামির নাম মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সদস্য। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের। নিহত আবরার ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে।
মামলার ১০ নম্বর আসামির নাম লেখা মো. তানভীর আহম্মেদ। পড়েন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে।
মামলার ১১ নম্বর আসামির নাম হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২০)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। পড়েন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে। থাকেন শেরেবাংলা হলের ২১১ নম্বর কক্ষে।
মামলার ১২ নম্বর আসামির নাম মো. জিসান (২১)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের। নিহত আবরার ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।
মামলার ১৩ নম্বর আসামির নাম মো. আকাশ হোসেন (২১)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। আকাশ বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচ বা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০০৮ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।
মামলার ১৪ নম্বর আসামির নাম মো. শামীম বিল্লাহ (২০)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচ ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র।
মামলার ১৫ নম্বর আসামির নাম মো. শাদাত (২০)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচ ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র।
মামলার ১৬ নম্বর আসামির নাম মো. তানিম (২০)। পুরো নাম এহতেশামুল রাব্বি তানিম। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচ ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র।
মামলার ১৭ নম্বর আসামির নাম মো. মোর্শেদ (২০)। মামলার এজাহারে তার ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম অজ্ঞাত লেখা আছে। তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচ ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন