বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরারকে যখন নির্যাতন করা হয় তখন তাকে বাঁচাতে একত্রিত হয়েছিল তার কয়েকজন বন্ধু। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা উল্টো তাদেরকে রুমে থেকে বের হতে বাধা দেয়। তাদের জড়ো হওয়া রুমের দরজায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধাক্কা দিতে থাকে। ফলে তারা রুম থেকে বের হতে পারেননি।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে আবরারের যে বন্ধুরা একত্রিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে থাকা একজনের বক্তব্য প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ওই ছাত্র বলেন, ‘রাত ১টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারের কক্ষ ১০১১ নম্বর রুমে গিয়ে দেখি সে সেখানে নেই। পরে জানতে পারি রাত সোয়া আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ছাত্রলীগের ছেলেরা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তখন হলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভোষ্টকে বলি, স্যার আপনার সাথে কথা আছে। স্যারকে নিয়ে ১০১১ রুমে আসি এবং দরজা বন্ধ করে স্যারকে বলি, স্যার এখানে কিছু হচ্ছে, যেটা স্বাভাবিক না। স্যার আমাদের তখন বলেন, তোমরা নিজেরা একত্রিত হও।’
ওই ছাত্র বলেন, ‘এর মধ্যে ছাত্রলীগের ছেলেরা খবর পেয়ে আমাদের দরজা বাইরে থেকে ধাক্কা দিতে থাকে। তারা ভোর ৫টা পর্যন্ত সেখানেই ছিল। তারপর তারা চলে গেলে আমরা ফেসবুকে আমাদের বুয়েটের সব হলের ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করি এবং একত্রিত হতে থাকি।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার কারণে তারা আবরারকে বাঁচাতে ওই রুম থেকে বের হতে পারেননি জানিয়ে বলেন, রাত ৩টার দিকে তিনি জানতে পারেন আবরারকে হত্যা করে একতলা এবং দোতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমি ঘটনা স্থলে যাই। দেখি বুয়েট মেডিকেলের ডাক্তার এসেছেন এবং আবরারকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করছেন। সিঁড়ির কাছের জায়গাটি ঘিরে রেখেছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। সাধারণ ছাত্রদের সেখানে জড়ো হতে বাধা দিচ্ছিলো তারা।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন