বাংলাদেশকে ঋণ দিতে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেব। আবার সময়মতো পরিশোধও করব। কারণ আমরা সাদাকে সাদা বলতে চাই।
পরিকল্পনামন্ত্রী শনিবার চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ ঋণ প্রস্তাব পাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশকে বিলয়ন ডলার ঋণ দিতে চায় বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা।
দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন সরবরাহে দাতাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্র ১ শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড থেকে আসে। তাহলে এটা নিয়ে এতো কথা বলার কী আছে?
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ‘বিলয়নস অব ডলার’ ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেব। তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। উই ডোন্ট লাইক দিস।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ৭৩ বা ৭৪ সালে অনেক ডোনেশন আসত। আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশিরা বাহাদুরি দেখাত। কিন্তু এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখার দরকার নেই। সোজা কথা- কেউ যদি বন্ধুত্বের হাত আমাদের প্রতি বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরাও হাত বাড়াব।
ব্র্যাকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জি, বেসরকারি সংস্থা মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ, অন্তর সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা এমরানুল হক চৌধুরী, ইপসা’র প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএম’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন