চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চালিয়ে র্যাব বলছে, এই ক্লাবেও জুয়ার আসর বসার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
ঢাকায় জুয়া ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি ক্লাব ঘিরে অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরা।
প্রথমে নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে র্যাবের অভিযানিক দল। ওদিকে সদরঘাট এলাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
এবং হালিশহর এলাকার আবাহনী লিমিটেড ক্লাব ঘিরে রেখেছেন র্যাব সদস্যরা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে তল্লাশির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে জুয়া খেলা হত-এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। জুয়া খেলার চিপ, কার্ড ও খাতাপত্র পেয়েছি। কিছু টেবিল পাওয়া গেছে সেগুলোতে জুয়ার আসর বসত বলে ধারণা করছি।”
অভিযানের জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া র্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অভিযান হতে পারে বুঝতে পেরে ক্লাব থেকে জুয়ার সরঞ্জাম সরিয়ে রাখা হয়েছে।
“আমরা সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
অভিযানে এই ক্লাবে কাউকে পাননি র্যাব সদস্যরা।
এই ক্লাব পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হারুন-আর-রসিদ। আর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কমান্ডার মো. সাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট ক্লাবটি পরিচালনা করত।
“বছর তিনেক আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।”
অভিযান চালানো হচ্ছে বলে র্যাব-৭ এর স্টাফ অফিসার এএসপি মাহমুদুল হাসান মামুন জানিয়েছেন।
গত বুধবার ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, মদ, বিয়ার ও জুয়ার কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। ক্যাসিনো চালানোয় যুবলীগের ঢাকা মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমণ্ডি ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাবের সভাপতি কৃষকলীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রামেও শুক্রবার রাতে জুয়াবিরোধী অভিযান চালানো হয়। নগরীর আলমাস মোড়ে ‘হ্যাং আউট’ নামের একটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অনুমতি ছাড়া পুল ও স্নুকার খেলা হত, ওই ক্লাব মালিকের ছেলে খলিকুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন