শেরপুরের হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে খাসির মাংসের পরিবর্তে ভেড়া ও ছাগীর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তা বন্ধ করতে শেরপুর শহরের পৌর পশু জবাইখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার শহরের চাপাতলী পৌর আধুনিক জবাইখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জান্নাত, জহিরুল ইসলাম এবং আরিফ ফয়সাল অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সদর উপজেলার ভেটেনারি সার্জন ডা. ফজলুল হক ও শেরপুর পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর শাহজাদা খান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ ফয়সাল খান বলেন, শেরপুরের বিভিন্ন পশু জবাইখানায় একটি অসাধু চক্র ভেড়া বা ছাগী জবাই করে সেগুলোকে খাসির মাংস বলে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে সরবরাহ করেছে।
এছাড়া কোনও ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াই অনুমোদনহীন ও অপরিণত বয়সের গরু, ভেড়া ও ছাগী জবাই করে শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারে মাংস সরবরাহ করছে। আর এসব পশু জবাই করেছেন লাইসেন্সবিহীন মাংসপ্রস্তুতকারীরা (কসাই)।
তাই জনস্বার্থে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আগামীতেও শেরপুর জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, খাসির মাংসের কথা বলে ভেড়ার মাংস সরবরাহ, অপরিণত ও অনুমোদনহীন পশু জবাই, জবাইখানার পরিবর্তে অন্য জায়গায় পশু জবাই করে পরিবেশ দূষণ এবং লাইসেন্সবিহীন মাংস প্রস্তুতকারীর (কসাই) দ্বারা পশু জবাই করে মাংস প্রস্তুত করার অভিযোগে পশু জবাই ও মাংসের নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী চাপালী পৌর আধুনিক জবাইখানার ইজারাদার আব্দুস সাত্তারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় মাংস প্রস্তুতকারী (কসাই) একজনকে আট হাজার টাকা এবং আরও তিনজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন