তথ্য-প্রমাণ পেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘তথ্য প্রমাণ পেলে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধেই স্বাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেকোনও ব্যক্তি বা সংস্থার লোক হোক না কেন।’
অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের শনাক্তকরণে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তালিকা পেলে সেটা যে ধরনেরই প্রতিষ্ঠান হোক, তাদের দমন করা হবে।'
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে দুর্নীতি রোধ করাটা আমরা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। তাই যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে বা অবৈধভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে অথবা অপরাধ করার চেষ্টা করছে, তাদের দমন করা হবে। বর্তমানে যে অভিযান শুরু হয়েছে, এটি চলমান থাকবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- আমরা যেভাবে এগিয়ে চলছি ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ বা টেকসই উন্নয়নের জন্য সাসটেইনেবল পিচের দরকার, সাসটেইনেবল পিচ যদি পেতে হয় তাহলে সাসটেইনেবল সিকিউরিটি দরকার। সেই সিকিউরিটি আমরা নিচ্ছি। যেখানে দুর্নীতি, যেখানে নিয়ম ভঙ্গকারী যারাই আছে তাদেরকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করবো। কেউ আনপানিস্ট (শাস্তি থেকে বাদ) যাবে না।’
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সচেতন করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান দানা বেঁধেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি, এই মাদকের বেচাকেনা কিংবা বিস্তার লাভ করার পেছনেও সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। প্রযুক্তি আমাদের ব্যবহার করতেই হবে। কিন্তু এর খারাপ দিকটা ভেবেচিন্তে সবাই কাজ করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম। পরে সবার সহযোগীতায় জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছি। নতুন প্রযুক্তি সাইবার ক্রাইম করে অনেকেই পার পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের নতুন সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাদেরকে মোকাবেলা করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন