খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সঙ্গে একাধিক অস্ত্র বহন করে চলাফেরা করায় আলোচনায় ছিলেন সব সময়। একটি অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও বাকি দুটির নিবন্ধন ছিল না। মদ, জুয়া ও ক্যাসিনো থেকে অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারের পাঁচ তলায় যুবলীগ নেতা খালেদের টর্চার সেলের সন্ধান পায় র্যাব-৩ এর একটি দল।
র্যাব জানায়, টর্চার সেলে নির্যাতনের অনেক ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টর্চার সেলে এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন চালাতো খালেদ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই টর্চার সেলের সন্ধান পায় র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, খালেদের টর্চার সেল থেকে দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, পাঁচটি লাঠি, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল, ১৯০পিস ইয়াবা, পাঁচটি বিয়ার ক্যান, দেড় কেজি সীসা খাওয়ার কয়লা, নগদ ২৩ হাজার টাকা জব্দ করে র্যাব।
গতকাল অভিযান চলাকালীন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল ব্রেকিংনিউজকে বলেন, “খালেদের টর্চার সেলে অভিযান চলমান রয়েছে। এখানে যা দেখছি লোম শিউরে ওঠার মতো অবস্থা।”
অভিযানে থাকা র্যাবের আরেক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা একজন ভুক্তভোগী পেয়েছি। যার কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শুনে আমরা হতবাগ হয়েছি। তাকে ওই অফিসে ধরে এনে প্রথমে গলায় সাপ পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। পরে বৈদ্যুত্যিক তার শরীরে পেঁচিয়ে শক দেওয়া হয়েছিলো। বেশ কয়েকবার শক দেওয়ার পরে একটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়।”
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন