প্রেমের সম্পর্কের জেরে বাঁধন নামে এক তরুণের সঙ্গে পালিয়ে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় আসে আসমা। ঢাকা এসেই সে খুন হলো। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমিক বাঁধন সহযোগীদের নিয়ে আসমাকে হত্যা করে পালিয়েছে। আসমার লাশ বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির টয়লেটে পড়েছিল।
পুলিশ জানায়, আসমার বাড়ি পঞ্চগড়ে। এখানে আসমা কীভাবে এলো এবং কারা তাকে নিয়ে এসেছে তা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি পরিত্যক্ত বগি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী আসমার (১৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার গলায় ওড়না দিয়ে গিট লাগানো ছিল।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগি থেকে আসমার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা সার্কেলের এএসপি ওমর ফারুক বলেন, লাশ দেখে আমরা নিশ্চিত আসমাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে তার প্রেমিক বাধন জড়িত বলে আমরা ধারণা করছি। বাধনের সঙ্গে সহযোগীও থাকতে পারে। তারা কীভাবে রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত বগিতে গিয়েছে সেটি জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বাধনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, আসমা পঞ্চগড়ের কোনাপাড়ার আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে স্থানীয় খান বাহাদুর মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল (এসএসপি সমমান) পাশ করেছে। রোববার সকাল ১০টার পর পঞ্চগড়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। একই সময় আসমার প্রেমিক বাধনও নিখোঁজ হয়। পর বিভিন্ন সূত্রে পরিবার নিশ্চিত হয় বাধনের সঙ্গে পালিয়েছে আসমা।
আসমার চাচা রাজু আহমেদ বলেন, আসমার ডায়েরি দেখে আমরা নিশ্চিত হই বাধনের সঙ্গে সে পালিয়েছে। একদিন পর খবর পেলাম পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ঢাকায় এসে আমি লাশ শনাক্ত করেছি।
মানবকণ্ঠ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন