সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী বজলুল হুদা'র কবরের এফিটাফে এখনো লেখা রয়েছে শহীদ এবং জাতীয় বীর। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানালেও এখন পর্যন্ত নামফলকটি সংশোধন বা অপসারণ করা হয়নি।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরাসরি গুলি করে হত্যার পর কর্নেল ফারুককে 'অল আর ফিনিশড' বলে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন খুনি বজলুল হুদা। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খনি বজলুল হুদা এক সমাবেশে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবকে আমি নিজের হাতে গুলি করে মেরেছি। কার সাধ্য আছে আমার বিচার করে? এদেশে শেখ মুজিব হত্যার বিচার কোনোদিনই হবে না। সেদিনই এ দেশে শেখ মুজিব হত্যার বিচার হবে, যেদিন আমার হাতের তালুতে চুল গজাবে।’
অথচ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে জাতির জনকের হত্যাকারী বজলুল হুদার কবরের এপিটাফে খোদাই করে লিখে রাখা হয়েছে শহীদ এবং জাতীয় বীর।
এদিকে সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি উল্লেখ করে বিশ্ব সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবরা খান লিখেছেন, এই লজ্জা আমার, আপনার সবার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর খুনির কবরের নামফলকে এখনো শহীদ এবং জাতীয় বীর উপাধি থাকায় তিনি চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গার আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধিক্কার জানান।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন