খুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সঙ্গে লিভটুগেদারের সময় ধর্ষণের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্র শিঞ্জন রায়কে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ছাত্রের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। রোববার এবিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। অন্যদিকে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার তাকে খুমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে আইনী সহায়তা দিতে তার সঙ্গে দেখা করেছে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার একটি টিম।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে শুক্রবার সকাল থেকে গত ২৪ ঘন্টা ওসিসিতে রাখা হয়েছিল। এসময় তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও তাকে মানসিক নিরাপত্তা দানের লক্ষ্যে কাউন্সিলিং করা হয়। শনিবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে গেছে।
খুমেক হাসপাতালের ডাঃ শফিউজ্জামান বলেন, ধর্ষনের শিকার মেয়েটির (ল্যাব টেষ্ট) পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিএনএ টেস্টের জন্যও স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার অ্যাড. মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছি, ভুক্তভোগী মেয়েসহ তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেছি। মেয়ে যাতে ন্যায় বিচায় পায় তার জন্য সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিঞ্জন রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ শিঞ্জন রায়কে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শিঞ্জন খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের ছেলে। তিনি খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবির এক ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে লিভটুগেদারের নামে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই শিঞ্জন রায়। এতে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। তাকে ওই অবস্থায় রেখেই শিঞ্জন অন্য এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এখবর জানতে পেরে ওই ছাত্রী শিঞ্জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মোঃ মমতাজুল হক বলেন, তদন্তের জন্য আসামির রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন