শিশুটির পরিচয় কি? কেও বলতে পারে না। বিজাতীয় ভাষায় কথা বলে। তাই সবার সন্দেহ, নিশ্চয় রোহিঙ্গা। পরিচয় যাই হোক সবাই মনে করেন শিশু হিসাবে সুরক্ষার দাবি রাখে সে।
গত সাত আট মাস ধরে শিশুটিকে দেখা যাচ্ছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি এলকায়। ১০/১২ বছরের শিশুটি এখন এলাকায় একটি পরিচিত মুখ।
বালিয়াটি বাজারের ব্যবসায়ী তারা মিয়া জানান, সবাই শিশুটিকে শাকিল নামে ডাকে। মাথা গোজার নির্দিষ্ট কোনো যায়গা নেই শাকিলের। সারাদিন বাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ানো। যে যা দিচ্ছে তাই খাচ্ছে। হাত পেতে দু দশ টাকাও আদায় করছে। আর যেখানেই রাত সেখানেই কাত।
স্থানীয় শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, শিশুটি কথা বললেও তা বাংলা নয়। যে কারণে কিছুই বোঝা যায় না। তবে টেলিভিশনে বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যে ভাষায় কথা বলে অনেকটা সেরকমই। তাই সবার ধারণা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যে কোনো ভাবেই হোক শিশুটি সাটুরিয়া এসে পৌঁছেছে। তিনি মনে করেন শিশুটি রোহিঙ্গা কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যে দেশেরই হোক শিশু হিসাবে সব ধরণের সুরক্ষার দাবি রাখে সে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
সাটুরিয়া উপজেলার ইউএনও নাসরীন পারভীন বলেন, শিশুটির পরিচয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আত্মীয় স্বজনের খোঁজ পাওয়া না গেলে শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন