নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে জালাল হোসেন মন্ডল (৬০) নামে এক ব্যক্তির হাত-পা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীরা নিহতের হাত কেটে নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ এখন কাটা হাত ও হত্যাকারীদের খুঁজছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জালাল ওই গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে আনন্দ মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জালাল ঢাকায় অবসরপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জব্বারের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন। বুধবার তিনি হত্যা মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য যোগেন্দ্র নগরে বাড়ি আসেন। সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে তিনি নাটোর কোর্টে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে সাবগাড়ী বাঁধ এলাকায় পৌঁছালে একই গ্রামের মোমিন মন্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, আক্কাছ মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান, খামার চাচকৈড়ের আব্দুর রব্বেল প্রামাণিকের ছেলে শামসুল হকসহ আরও কয়েকজন তার পথ রোধ করে। তারা প্রকাশ্যে জালালের বুকের ওপর বসে তার বাম হাত কেটে নেয়। ডান হাত কাটলে একটু বেঁধে থাকায় নিয়ে যেতে পারেনি। বাম পায়ের রোগ কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় জালালের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার সময় সকল হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, সাইদুলসহ যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রকৃতই সন্ত্রাসী। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মারা যায়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও কেটে নেওয়া হাত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন