ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবস্থিত চার লেনের মেঘনা-গোমতী সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এ পথ পাড়ি দিতে আগে কখনো কখনো ৮ থেকে ১০ ঘণ্টাও লাগত। সেতুর কাছে গাড়ির লম্বা লাইন না থাকলে সাধারণত তিন থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছাতেন যাত্রীরা।
যানজট এড়িয়ে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য ভোরে রওনা দিতেন অনেকেই।
সে পথ শনিবার ও রোববারে দেড় ঘণ্টায় পার হওয়া গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
তার কিছুদিন আগে চালু হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর নতুন এই তিনটি সেতু নির্মাণের সুফল পেতে শুরু করেছে কুমিল্লার মানুষ।
ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব ৯৭ কিলোমিটার।
গাড়ির চালকেরা বলছেন, এই পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা লাগার কথা। দেড় ঘণ্টায়ও যাওয়া যায়। কিন্তু তিনটি নদীর ওপর এত দিন দুই লেনের একটি করে সেতু থাকার কারণে কুমিল্লায় যেতে কত সময় লাগবে, তা কেউই বলতে পারতেন না।
তারা জানান, মেঘনা ও গোমতী সেতুতে ওঠার আগে টোল প্লাজায় আটকা পড়তে হবে কিনা, এমন আশঙ্কা নিয়েই যাত্রা শুরু করতেন যাত্রীরা।
সেতু চালু হওয়ার পর মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। এতে ঘুরমুখো যাত্রী, চালক, পরিবহন মালিকেরা খুশি। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি সেতুর উদ্বোধন করেন।
কুমিল্লা জেলা রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, সেতু দুটি উদ্বোধনের পর দেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষ দুই সেতুর সুফল পাচ্ছে। এখন আর যানজট থাকবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন