জেগে-ঘুমিয়ে রাত পার। সকাল হতেই আবার লাইনে দাঁড়ানো। সবমিলিয়ে ক্লান্তি আর অবসাদ। তারপরও যেন ক্লান্তি নেই আকিবুল হকের। কাঙ্ক্ষিত টিকিট সেই অবসাদ দূর করে দিয়েছে। ঈদে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট পেয়ে স্বপ্নজয়ের হাসি হাসলেন আকিবুল। শুধু আকিবুলই নন, কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট পেয়ে এমন অনেকেই যেন স্বপ্নজয়ের হাসি হাসলেন, উছ্বাস প্রকাশ করলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এ টিকিট বিক্রি। আজ দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মনিরা আফরিন। তিনি বলেন, খুলনায় ট্রেনে ভ্রমণ করা আরামদায়ক ও নিরাপদ। ভোগান্তিও কম। তাই কষ্ট সহ্য করেই বান্ধবীকে নিয়ে সারারাত কমলাপুর কাটিয়েছি। টিকিট পাওয়ার মধ্য দিয়ে কষ্ট দূর হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিট পেয়েছেন শফিকুল হক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২২ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে কমলাপুর এসেছি। প্লাটফর্মে সেহরি খেয়েছি। প্রায় আট ঘণ্টা অপেক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেলাম।
তথ্য মতে, রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিক্রি করা হচ্ছে ১২টি ট্রেনের টিকিট। রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে চলাচলকারী এসব ট্রেনের আগাম টিকিট কমলাপুর থেকেই বিক্রি হচ্ছে। এসব অঞ্চলের ১২টি ট্রেনে সবধরনের কোটাসহ মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ৬৯টি।
যে ১২টি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, তা হলো- খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন