জরুরি বিভাগের সামনে রোগী-স্বজনের জটলা। একের পর এক রোগী আসছে-যাচ্ছে। কারও স্বজন হারানোর বেদনায় কিছুক্ষণ পর পর কেঁপে উঠছে এলাকাটি। একটু দূরে দেখা মিললেও কিছু তরুণ গল্প মেতেছেন। কাছে গিয়ে কথা বলার আগে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই অ্যাম্বুলন্সে লাগবে? তাতেই বুঝা গেল ওরা কারা।
বুধবার (২২ মে) রাত ১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে এ চিত্র চোখে পড়ে।
একসময় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সিন্ডিকেটে কাছে জিম্মি ছিল হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা। তবে সে চিত্র পাল্টেছে। কর্তৃপক্ষ আইন করে দেয়ার পর ওয়ার্ড মাস্টার অফিস থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী ভাড়া দেওয়া হয় চালকদের।
....হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন চিকিৎসাধীন ২৫ থেকে ৩০ রোগী হাসপাতালে মারা যান।
রোগী কিংবা মরদেহ পরিবহনে হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব অ্যাম্বুলেন্স নিয়মিত হাসপতালের রোগী আনা-নেওয়া করেন।
মোহাম্মদ আল আমীন নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিনদিন ধরে রাত জাগছি। একটিও ভাড়া জুটেনি।’
‘হাসপাতাল এলাকায় প্রায় আড়াইশ অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। প্রতিযোগিতা অনেক। সিরিয়াল চলে গেলে ভাড়া মেলে না। এজন্য রাত জাগতে হয়। ভাড়া কখন মিলবে ঠিক নেই।’
১৯৫৭ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে দুই দফা বাড়িয়ে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩।
এখনো বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল এ হাসপাতাল। জটিল ও মুমূর্ষু রোগীরা এ হাসপাতালেই ছুটে আসেন।
কিন্তু সুবিধার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা নিতে আসা রোগীদের একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন