দুপুর ৩টা। ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেল এক ব্যক্তি বিচারপ্রার্থীদের কান পরিষ্কার করছেন। তাঁর বুকে একটি থলেতে কটন বার্ড, কিছু তরল মেডিসিন ও পানি জাতীয় পদার্থ রয়েছে।
ভদ্রলোকের নাম আলী আশরাফ গাজী।
আলী আশরাফ আদালত প্রাঙ্গণে ৩২ বছর ধরে মানুষের কান পরিষ্কার করেন। তিনি জানান তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই, নেই কোনো সনদও।
আলী আশরাফ বলেন, ‘আমার ওস্তাদের কাছ থেকে দুই মাসে এ কাজ শিখেছি। এ কাজে মানুষের কানের কোনো ক্ষতি হয় না। একবার যারা কাজ করায় তারা আবার আমাকে খুঁজে। বাইরে হাজার টাকা নষ্ট না করে আর আমি মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে কানের যেকোনো সমস্যার সমাধান দেই।
চিকিৎসক না হয়েও কীভাবে করেন জানতে চাইলে আলী আশরাফ বলেন, ‘ডাক্তারি কোনো সনদ বা শিক্ষা লাগে না, ডাক্তারগো ওস্তাদ আমি!’
আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি এ কাজ করে ছেলেদের মানুষ করেছি। কান পরিষ্কার করাতে নেই ৩০ টাকা। এ ছাড়া কানের অন্য কোনো সমস্যা বা ব্যথা থাকলে নেই ১০০ টাকা।’
তবে কান পরিষ্কারে কী কী জিনিস ব্যবহার করা হয় তা জিজ্ঞেস করলে তা তিনি এড়িয়ে যান।
আলী আশরাফকে দিয়ে কান পরিষ্কার করাচ্ছিলেন সাদিক মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আদালতে আসলেই কান পরিষ্কার করাই। আলী আশরাফ ভালো কাজ পারে। কান যখন পরিষ্কার করে তখন ঘুম আইসে যায়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আবুল হাসনাত এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এভাবে রাস্তায় কান পরিষ্কার করালে কানের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আমরা রোগীদের দোকানে কেনা কটন বাড ব্যবহারে নিষেধ করি। আর চিকিৎসক নয় এমন ব্যক্তি দিয়ে কান পরিষ্কার করালে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এতে কানের পর্দা ফেটে গিয়ে কান পেকে যেতে পারে। এ ছাড়া বধির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন