যশোরে বাবার নামে মিল থাকায় অন্যের অপরাধে তিন মাস ধরে জেলের ঘানি টানা নিরপরাধ সবুজ বিশ্বাস অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আয়শা নাসরিন তাকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
সবুজের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে জানিয়েছেন, পুলিশ ‘ভুল করে’ সবুজকে গ্রেফতার করে। মামলার আসামি জনি, আর কারাগারে থাকা সবুজ এক ব্যক্তি নন। এ ব্যাপারে তারা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরই ভিত্তিতে আদালত সবুজকে জামিন দিয়েছেন।
দীর্ঘ তিন মাস কারাভোগের পর নিরপরাধ সবুজ জামিনে মুক্তি পাওয়ায় খুশি তার পরিবার। সবুজের বাবা খাইরুল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমার নিরপরাধ ছেলে বিনা অপরাধে তিন মাস জেল খেটেছে। তবে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন, তাতে আমরা খুবই খুশি। এতে দেরিতে হলেও সত্যের জয় হলো।
২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখ খুন হন। এ ঘটনায় তার ভাই ইসরাইল বাদী হয়ে নয়জনের নামোল্লেখ করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫ নম্বর আসামি সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গা গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে জনি। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা আসামি জনির বদলে ট্রাক ড্রাইভার সবুজ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। সেই থেকে কারাবাস করতে হচ্ছিল সবুজকে। তবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে ‘গা বাঁচানোর চেষ্টায়’ নামেন প্রকৃত আসামি জনি। এমনকি নিজেকে নির্দোষ সাজাতে গত ১৯ মে দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন।
তবে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরও জনি নিজেকে আসামি নয় দাবি করলে পুলিশ বাদীপক্ষের সহায়তা নিয়ে নিশ্চিত হয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন