রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড়ের টিকিট কেটেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার (২২ মে) সকাল ১০টার দিকে কমলাপুরে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ৩১ মে’র টিকিট কাটেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী অগ্রিম টিকেট কিনতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাদের নানা অভিযোগ।
রেলমন্ত্রী বলেন, টিকেট কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে টিকেট নিয়ে ভোগান্তির সত্যতা পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
এর আগে, সকাল নয়টা থেকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দুর্ভোগ কমাতে এবারই প্রথমবারের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে বিক্রি করা হবে ঈদের টিকিট। ওই পাঁচ জায়গায় পর্যাপ্ত বুথ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে থেকে যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সবকটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোণাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেয়া হবে ১ জুনের টিকিট। শুক্রবার ২ জুনের, ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের টিকিট দেয়া হবে।
অন্যদিকে, ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে। সে দিন দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
এবার টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি লাগছে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন