বহুদিন পর মেয়ের ‘ধর্ষককে’ হাতেনাতে পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে দিলেন অন্ধ ভিক্ষুক বাবা-মা। গত রোববার হাজীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মেয়েটির মা বাদী হয়ে ওই রাতেই হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত ওই যুবক চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার নাম মো. মোজাম্মেল হক। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাঁও ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষিতা মেয়ের বাবা দেবপুর এলাকার বাসিন্দা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিন অন্ধ হওয়ায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বেলায় হাজিগঞ্জ বাজারে সাহায্য তোলেন। প্রতিবন্ধী এ পরিবারের সরলতার সুযোগে মোজাম্মেল হক মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করে। পরে মেয়েটিকে ভালোভাবে পড়াবে বলে গেল বছর ১৭ নভেম্বর হাজিগঞ্জ বাজারের মকিমাবাদ ৪নং ওয়ার্ড হাজী ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন মেয়েটিকে পড়ানোর কথা বলে বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েটি বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন মোজাম্মেল হক।
এদিকে মানসম্মানের ভয়ে ওই পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে গোপনে মোজাম্মেলকে খুঁজতে থাকে। রোববার হাতেনাতে পেয়ে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
হাজিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, তার মোবাইলে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর নাম করে মোজাম্মেল সরলতার সুযোগ নেয়। পরবর্তীতে তিনি পলাতক ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ওই যুবক ৫শ’ টাকা দিয়ে বাসাভাড়া নিয়ে মাত্র একদিন ফ্ল্যাটে থাকে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন