বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মওলানা ভাসানীদের আমলে আমরা ছিলাম মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার তাগিদে স্বাধীন জাতি। এখন আমরা স্বাধীনতার নামে লেজ গুটিয়ে রাখা, মাথা গুটিয়ে রাখা একটা দাস জাতিতে পরিণত হয়েছি। এটা আমরা নদীর পানির দিকে এবং বিভিন্ন সেক্টরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি। আসলে আমরা বাইরে বিড়াল, দেশের মানুষের কাছে বাঘ। শুক্রবার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে জামালপুর জেলা ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে শহরের হুমায়রা কমিউনিটি সেন্টারে ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, প্রতিনিয়ত সীমান্তে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকেও হত্যা করা হচ্ছে। আমরা যখন দেখি বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে, ১০০ টাকার প্রকল্প যখন এক হাজার টাকার প্রকল্পে পরিণত করা হচ্ছে, জনগণের ট্যাক্সের টাকা, ভ্যাটের টাকা ও আমাদের কষ্টের টাকা নিয়ে এই সরকার কি নয়-ছয় করছে এবং দুর্নীতিমূলক কাজ করছে। যখন ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার আগের রাতে ছিনিয়ে নেয়া হয়। তখন আমার সত্যিই মনে হয়, আজকে মাওলানা ভাসানীর মত একজন মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তিনি স্টংলি বলতে পারতেন, ‘খামস’। যার খামস শুনে ভয় পেত- দেশ প্রেমিকহীন অত্যাচারী মানুষ। বাংলাদেশে বর্তমানে এমন এক শাসন ব্যবস্থা চলতে, ‘‘বাইরের মানুষের কাছে বিড়াল, দেশের মানুষের কাছে বাঘ’। এই অবস্থায় আমাদের দেশে একজন বাঘের প্রয়োজন ছিল, যিনি দেশের মানুষের জন্য মহামানব আর বাইরের মানুষের কাছে বাঘের মত। মূলত মাওলানা ভাসানী ছিলেন প্রচন্ড দেশ প্রেমিক, জনবান্ধব ও প্রচন্ড সৎ একজন মানুষ। কোন ভয় দেখিয়ে তাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। জেলা ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু, ভাষানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার নঈম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাবিবুর রশীদ বাবু।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন