ফেনীর সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। শিগগির এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১৫ মে) পিবিআই প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নুসরাতের জবানবন্দি মোবাইলে রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যেই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।
এদিকে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার সত্যতা মিলেছে আগেই। পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একই অভিযোগে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত এসআই মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ও এসআই মো. ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এসপিসহ অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকেই অন্যত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন