মৌলভীবাজারের সদর থানায় এক কলেজ ছাত্রী ইভ টিজিংয়ের শিকার হলে সেটার প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন আরও দুই ছাত্রী। এতে ওই তিনিজনকে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীদের এক আত্মীয় সোমবার রাতে চারজনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। নাম উল্লেখ থাকা ওই চারজন হলেন নাভেদ (১৮) ও তাঁর সহযোগী সায়েম (২৪), মুন্না (২২) ও লোকমান (২৪)।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও বাদী সূত্রে জানা যায়, ওই তিন কলেজছাত্রী শফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ঘটনার দিন ওই তিনজনের একজন কলেজের পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি যখন বাসায় প্রবেশ করেন তখন শফিকুরের ভাতিজা নাভেদ তাঁকে অশালীন বাক্যের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী কেঁদে ফেলেন। তাঁর কান্না শুনে ঘর থেকে বাকি দুই ছাত্রী বের হয়ে আসেন এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এতে নাহিদ খেপে যান। এ সময় তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ওই তিন ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং চুলের মুঠি ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ওই তিন ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় অশ্লীল উক্তি ও অঙ্গভঙ্গি মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন নাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা।
মামলার বাদী বলেন, ‘ওই তিন কলেজছাত্রীর দুজন আমার কাজিন। অপরজন তাদের সঙ্গে থাকে। ওদের অভিভাবক শহরে নেই। ইভ টিজিংয়ের ঘটনার পরই আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে। ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ওরা তাদের ওপর আক্রমণ করেছে।’
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটা একটা ইভ টিজিংয়ের ঘটনা। তিন ছাত্রী মেসে থাকে এবং অনার্সে পড়ে। মেসের মালিকের ভাতিজা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন