ছুটির ফাঁদে রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। সড়কে নেই দীর্ঘ গাড়ির সারি। নেই কোনো যানজট। তাই ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না। ঢাকার এমন চিত্র সচরাচর মুসলিম সম্প্রদায়ের দুই ঈদের ছুটিতে দেখা যায়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মুক্তার হোসেন সোমবার সকালে গুলিস্তান থেকে যাত্রী নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বরে পৌঁছেন মাত্র ২০ মিনিটে। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে টঙ্গীতে গেছেন ২৫ মিনিটে। আবার সেখান থেকে ফার্মগেটে এসেছেন মাত্র ৩০ মিনিটে।
ঢাকার এমন চিত্র দুই ঈদে ছাড়া দেখা যায় না উল্লেখ করে মুক্তার হোসেন জানান, এমন ফাঁকা ঢাকা খুবই কম পাওয়া যায়।
তিনি জানান, রাস্তায় প্রাইভেটকার নেই বললেই চলে। গণপরিবহনের সংখ্যাও কম। তাই নেই কোনো যানজট, নেই লাম্বা ট্রাফিক সিগন্যাল। তাই প্রচণ্ড গরমেও কিছুটা স্বস্তি আর কি।
শুক্র-শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর শবে বরাতের সরকারি ছুটি আজ সোমবার। মাঝখানে রোববার অফিস আদালত খোলা ছিল। অনেকেই রোববার ছুটি নিয়ে নাড়ির টানে ফিরে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
এই ছুটির ফাঁদে রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। তবে, আজ ছুটি শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকা আবার সেই পুরানো রূপে ফিরবে। আবার সেই যানজট, ট্রাফিকের দীর্ঘ সিগন্যাগ। ফুটপাতছুড়ে শুধু দেখা মিলবে মানুষের মাথা।
ফার্মগেট সিগন্যালের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ বলেন, অন্যান্য দিনের মতো সিগন্যাল সামলাতে কোন ধরনের বেগ পেতে হচ্ছে না। রাস্তায় তেমন গাড়ি নেই।
ফার্মগেটে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সরকারি চাকরিজীবী জামসেদ আলী বলেন, যানজটমুক্ত ঢাকা, এ যেন কল্পনাই করা যায় না। বছরজুড়ে দুই ঈদ ছাড়া ঢাকা থাকে যানবাহন আর মানুষে ঢাকা। তাই আজ স্বস্তিতে চলাফেরা করছি।
ঢাকা ফাঁকা হওয়ায় রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও তেমন ভিড় নেই। মিরপুর চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় শিশু পার্ক, শিশু মেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, যমুনা ফিউচার পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, লালবাগ কেল্লাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শাহবাগ, বাংলামটর, ফার্মগেট এবং জাহাঙ্গীর গেট হয়ে বনানী যাওয়ার রাস্তাটিও বেশ ফাঁকাই দেখা যায়। যদিও অন্যদিনগুলোতে এই রাস্তায় প্রচুর জানজট দেখা যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন