ভাতিজীকে ফেসবুকে নাস্তিক, যৌনকর্মী, পতিতা ও ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে তুলনা করে জেলে খাটছেন চাচা। জেলে থাকা ওই চাচার নাম জিয়াউদ্দিন পারভেজ (৩৫)।
গত ৮ এপ্রিল থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তিনি গত ৭ এপ্রিল সৌদিআরব থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃক আটক হন। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে জেলহাজতে প্রেরণ করেন সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।
গত সোমবার ওই ট্রাইব্যুনালে আসামির জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলাটিতে বাদিনীর চাচী ফারহানা আলী মৌও আসামি। তিনি মামলাটিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে রয়েছেন।
মামলা সম্পর্কে বাদিনীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মামলার বাদিনী আসামির ভাতিজী একটি এনজিও’র প্রধান নির্বাহী। তিনি ২০১৭ সালের ২০ মার্চ রাজধানীর একটি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ বাদিনী মোবাইল ফোনে দেখতে পান যে, আসামিরা ফেসবুকে বাদিনী সম্পর্কে মানহানি ও আপত্তিকর স্টাটাস পোস্ট করেছেন। সেখানে আসামিরা বাদিনীকে নাস্তিক, যৌনকর্মী, পতিতা বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া তারা বাদিনীকে ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ওই বছর ৮ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত আসামিরা ওই পোস্টগুলো করেছেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইপি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এএইচএম ফজলে রাব্বি।
মামলাটি বর্তমানে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের জন্য আগামী ২১ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য আছে।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা বাদিনীর আপন চাচা-চাচী। সম্পত্তি, ধর্মীয় মতাদর্শ ও পারিবারিক কলাহের জের ধরে বহুদিন তাদের মধ্যে বিরোধ চলমান। মামলার বাদিনী প্রগতিশীল ও নারী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। আসামিরা ভিন্ন মতাদর্শী। ফলে তারা ভাতিজীর কাজের ঘোর বিরোধী হওয়ায় বাদিনীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানি ও আপত্তিকর স্টাটাস পোস্ট করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন