আসন্ন রমজান মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সব সিএনজি পাম্প বন্ধ রাখা হবে। সম্প্রতি এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়।
রমজান মাসে দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণী বিতান খোলা রাখার বিষয়ে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয় আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া সুপার মার্কেট, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস স্টেশনে যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার না করা না হয় সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়।
একইসঙ্গে ইফতার ও তারাবীর সময় এসি ব্যবহার সীমিত রাখা, বিদ্যুতের অপচয় রোধে সিএফএল বাল্বের পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা, কোন এলাকায় লোডশেড করতে হলে গ্রাহককে আগেই জানানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কারিগরি ত্রু টির কারণে বা অন্য কোন কারণে যেন লোডশেড না হয় সেদিকেও সজাগ থাকতে বলা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বেশি আছে। অবশ্য রমজানে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যায়। যেহেতু এখনও এনএলডিসি ম্যানুয়্যাললি এই কাজ করে তাই সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। দোকান বা বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত তার বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এতে দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, আসন্ন রমজান ও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম লোড শেড মুক্ত রাখা হবে। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কারিগরি কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে কিন্তু কিছুতেই লোড শেড করার প্রয়োজন হবে না।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন