রজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করা হয় । আজ সন্ধ্যা ৭:২০ মিনিটে ভবনটি সিলগালা করা হয়।
আগে বলা হয়েছিল, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিএমইএ ভবন থেকে মালামাল সরিতে নিতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মালামাল সরাতে ব্যর্থ হলে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হবে।
এর আগে জানানো হয়, বিজিএমইএর বহুতল ভবন ডিনামাইট ব্যবহারে ভাঙা হবে। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঠেকাতে ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এ কাজে সহায়তা করবে চায়না এক্সপার্টরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয়।
এটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে প্রথমবারেট মতো ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবন ভাঙার ঘটনা ঘটবে। ডিনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণের পর ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে।
এ বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ ভবনটি অপসারণের কাজ করা হবে। এর আগে র্যাংগস ভবন ভাঙতে গিয়ে প্রাণহানি ঘটে। তবে এ ভবন ভাঙতে ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এ কাজে সহায়তা করবে চায়না এক্সপার্টরা।
এ বিষয়ে খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ীই আমরা বিজিএমইএ ভবনের অফিস অপসারণের কাজ শুরু করেছি। আমরা যে ভবন অপসারণ শুরু করেছি এটাও ভবন ভাঙার অংশ। তাছাড়া এখানে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে এগুলো শেষ হলেই আমরা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এই বড় ভবনের নানা বিষয় দেখতে হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো ব্যাংক আছে সেটাও দেখতে হচ্ছে।
শীর্ষকাগজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন