ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরেক তরুণী ‘আটক’ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আটককৃত ওই নারীর নাম কামরুন নাহার মনি। তিনি নুসরাতের সহপাঠী ও ওই মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মনিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে আটক করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ফেনী পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
তিনি দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’
এর আগে নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় ‘সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এজাহারভুক্ত দুই আসামি নূরউদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম। রোববার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা এই জবানবন্দি দেন।
মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নূরউদ্দিন রবিবার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলছিল, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উম্মে সুলতানা পপি গিয়ে নুসরাতকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় ছাদে কামরুন নাহার মণি ছিল।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে এর আগে পুলিশ তার সহপাঠী পপি ওরফে শম্পাকে গ্রেপ্তার করেছে। নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার সময় পপি রাফির পা চেপে ধরেছিল। আগুনে রাফিকে পুড়িয়ে মারার সময় খুনিরা পপিকে শম্পা নামে ডেকেছিল। আর মনিও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিল। এতে পাঁচজন অংশ নিয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকছুদ আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন