বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বিভিন্ন দেশের ৪৮জন সাংবাদিক ও কূটনীতিকের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘আমি আপনদের সকলকে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।’
ড. হাছান বলেন, মাত্র তিন বছর আগে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়ে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতেৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন, একসময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেম হওয়া সত্ত্বেও এখন খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি উন্নয়নশীল দেশের অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের যথার্থ দৃষ্টান্ত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ বিগত দশ বছরে অনেক এগিয়েছে।
হাছান বলেন, অনেক বিশ্ব গত দশ বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করছেন। অনেক গুরত্বপূর্ণ সূচকে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিগত দশ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করছে। দেশে বর্তমানে ৩৩টি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। ৪৪টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। আমাদের সারাদেশে প্রায় ১৫০০ দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই। তথ্যসচিব আবদুর মালেক ও পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলে অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ভারত, নেপাল, ভুটান, কিরগিস্তান বাহরাইনসহ ২৮ টি দেশের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন