ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন নূর, চলবে আন্দোলনও
নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর।
তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) অভিষেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন এবং ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন।
একইসঙ্গে নূর পুনর্নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব ঘোষণা দেন।
মূলত নূর ইস্যুতে ডাকসু নির্বাচনে তার প্যানেল সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
সেখানে নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার ডাকসুর প্রথম সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমরা দায়িত্ব নেব।’
আমরা বলতে তিনি তার প্যানেল থেকে নবনির্বাচিত সমাজসেবা সম্পদক আখতার হোসেনকে বোঝান।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসুর ২৫টি পদে নির্বাচন হয়। এতে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া বাকি সবগুলোতে ছাত্রলীগের প্যানেল জয় পায়।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি প্রার্থী নূর নির্বাচন বর্জন করেন। তার পরেও ফলাফলে তিনি বিজয়ী হন।
এরপর থেকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নূর আন্দোলন করে আসায় অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন কিনা? আর শুক্রবার গণমাধ্যমের সামনে এসে নূর এই সংশয় দূর করলেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি। তবে, আমাদের পুনর্নির্বাচন দাবিসহ যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধানে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।’
নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম এবং ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গসংগঠনে অনিয়ম নিয়ে কথা বলতেই আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি।’
এ সময় তিনি দেশের সকল বিশ্বিবিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানান। বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মেধাভিত্তিক সুস্থধারার রাজনীতির পরিবর্তে অর্থ ও পেশীশক্তি নির্ভর অপরাজনীতির বিকাশ ঘটছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হল আর বিজয় একাত্তর হল ছাড়া অন্য হলগুলো প্রশাসন যেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের কাছে ইজারা দিয়েছে। যে মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, সেই মেধা ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখেই হলে তাদের আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
নূর বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করে মিছিল-মিটিং করানো যাবে না এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে হলে সিট দেয়া যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাশেদ খান, এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফারুক হোসেন, ডাকসুর নবনির্বাচিত সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন